“পর্যটন শিল্পের নতুন দিগন্ত স্বরূপকাঠীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য” দেশের বৃহত্তম পেয়ারা বাগান, দেশের বৃহত্তম ভাসমান কাঠের হাট, ভাসমান ধান ও চালের হাট, সন্ধ্যা নদী ও দুই পাশের গাছ-পালার সৌন্দর্যের এক বর্ণিল উপস্থিতি, যা প্রকৃতি প্রেমিক পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকে।
বর্ণনাঃ বাংলাদেশে উৎপাদিত মোট পেয়ারার প্রায় ৮০ ভাগই উতপাদিত হয় স্বরুপকাঠি জেলার বিভিন্ন গ্রামে।আটঘর, কুরিয়ানা, ডুমুরিয়া, বেতরা, ডালুহার ইত্যাদি এলাকার প্রায় ২৪,০০০ একর জমিতে পেয়ারার চাষ হয়।বাংলাদেশের ভাসমান পেয়ারা বাজার বসে জলের দেশ বরিশাল এর দক্ষিণাঞ্চলের জেলা ঝালকাঠী ও স্বরূপকাঠীর বিভিন্ন জায়গায়। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো ভিমরুলি, আটঘর, কুড়িয়ানা বাজার। অনেকে এই ভাসমান বাজার সমুহকে থাইল্যান্ড এর ফ্লোটিং মার্কেট এর সাথে তুলনা করে থাকেন।
বাংলাদেশের স্বরুপকাঠি পেয়ারার এই জল বাজারে গেলে দেখতে পারবেন সবুজ যে কতোটা সবুজ হতে পারে, চিন্তা করুন একবার, ছোট ছোট খালের মধ্যে দিয়ে নৌকা নিয়ে যাচ্ছেন আর আপনার আশে পাশে শুধু পেয়ারা’র গাছ আর গাছ। চারিদিকে সবুজের সমাহার। খালের দু’পাশের সুপারী বাগান, আমড়ার বাগান, পানের বরজ আর যার কথা না বললেই নয়, পেয়ারার রাজ্য- সব কিছুই বিষ্ময় জাগানিয়া!
প্রতিদিন কয়েক হাজার মন পেয়ারা বেচাকেনা হয় এই অঞ্চলে। দূর-দুরান্ত থেকে নদীপথে পাইকাররা এসে এখানে পেয়ারা কিনে। এই এলাকায় রয়েছে অসংখ্য পেয়ারার বাগান। চাষিরা সরাসরি বাগান থেকে পেয়ারা পেরে বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারদের কাছে বিক্রি করে। প্রতি বছরের জুলাই, আগষ্ঠ, সেপ্টেম্বর এই মৌসুমে কয়েকশ কোটি টাকার পেয়ারা উৎপাদন ও কেনাবেচা হয়।ভিমরুলি হাট খালের একটি মোহনায় বসে।
কীভাবে যাবেন : যাত্রা শুরু করুন সদরঘাট থেকে। বরিশালের লঞ্চে ডেকে উঠে যান। ভাড়া ২০০ টাকা (কেবিন ভাড়া ৯০০ সিঙ্গেল, ডাবল ১৮০০ টাকা)। লঞ্চ থেকে নামার পর একটি মাহেন্দ্র ভাড়া করুন। মাহেন্দ্র বরিশালের দর্শনীয় জায়গা যা যা পথে পড়ে সেগুলো আপনাকে ঘুরিয়ে নিয়ে যাবে বানারিপাড়া ফেরিঘাটে।
পথে আপনি নামবেন দূর্ঘাসাগর দিঘি এবং গুঠিয়া মসজিদে। মোট ভাড়া নেবে ৫০০-৬০০ টাকা। বানারিপাড়া ফেরিঘাটে ইঞ্জিন নৌকা ঠিক করবেন। আটঘর, কুড়িয়ানা আর ভিমরুলি ঘুরিয়ে আবার আপনাকে এখানে পৌছে দেবে বিকেলের মধ্যে। ভাড়া দরদাম করে নেবেন। ১৮০০-২০০০ টাকা। এরপর বানারিপাড়ায় ফিরে আবার মহেন্দ্র ভাড়া করে বরিশাল লঞ্চঘাট।