নাগরিক জীবনে হাঁপিয়ে উঠছেন। একটু অবকাশ দরকার। প্রতিদিনের রুটিন ব্যস্ততায় কিছুটা একঘেয়েমি চলে আসে জীবনে। হঠাৎ ইচ্ছে করলো এই নাগরিক কোলাহল থেকে অন্তত অল্প সময়ের জন্য হলেও দূরে যাবেন। নিজের মতো করে কাটাবেন সময়। হাতে অল্প সময় নিয়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে অল্প খরচে অবকাশ যাপন করে আসতে পারেন রাজধানী ঢাকার অদূরে নরসিংদী জেলায় গড়ে উঠা বিশ্বমানের থিম পার্ক ‘ড্রিম হলিডে’ পার্কে।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর পাঁচদোনার চৈতাবাতে মনোরম এই পার্কটির অবস্থান। ঢাকার পার্শ্ববর্তী নরসিংদিতে ২০১১ সালে গড়ে উঠে মানসম্মত এই পার্ক। ওই বছরের শেষের দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে পার্কটি চালু করা হয়। ছোট-বড় সবার জন্যই রয়েছে আলাদা সব রাইড। ঢাকা থেকে মাত্র ঘণ্টা খানেকের দূরত্বে বলে ইতিমধ্যেই এ পার্কটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
৬০ একর জমির ওপর নির্মিত এ পার্কে রয়েছে নাগেট ক্যাসেল, এয়ার বাইসাইকেল, অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ইমু পাখি, মায়াবি স্পট, কৃত্রিম অভয়ারণ্য, ডুপ্লেক্স কটেজ, পার্কে শিশু-কিশোরদের জন্য একাধিক রাইডস, সুবিশাল লেক, হংসরাজ প্যাডেল ও জেট ফাইটার বোট, মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশবেষ্টিত নয়নাভিরাম ক্যানেল, রকিং হর্স, ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা ও সরকার প্রদত্ত নিরাপত্তা কর্মীর তত্ত্বাবধানে সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশ। রয়েছে বিশাল গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা, নিজস্ব কটেজ ও সুপ্রশস্ত বাংলো।
খাবারের মধ্যে ড্রিম হলিডে পার্কে রয়েছে থাই, ইন্ডিয়ান ও চাইনিজ খাবার। রয়েছে আইসক্রিম পার্লার, কফি হাউস। পাশাপাশি রয়েছে নারায়ণগঞ্জের বিখ্যাত ‘জামদানি হাউস’। কম দামে পাওয়া যায় মেয়েদের থ্রি-পিস, বেড শিট ও অন্যান্য জিনিসপত্র।
প্রবেশ মূল্য : ২০০ টাকা। খোলা-বন্ধের সময়সূচি : প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। তবে সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৬ টা ৩০ মি. এর পর টিকিট বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়।
কীভাবে যাবেন : রাজধানী ঢাকার কমলাপুর, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে যাওয়া যায়। ৩০ মিনিট পর পর বাস পাবেন। এ ছাড়া ঢাকা-সিলেট বিভাগের যে কোনো বাসে উঠলেই এ পার্কে পৌঁছানো যাবে। কিংবা কাঁচপুর অথবা টঙ্গী থেকে কালীগঞ্জ, ঘোড়াশাল হয়ে যাওয়া যাবে অনায়াসে। এক থেকে সর্বোচ্চ দেড় ঘণ্টার যাত্রাপথ।