অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী সোনারচর। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার দক্ষিণ সীমানায় বঙ্গোপসাগরের একেবারে কোল ঘেঁষে এর অবস্থান। এখানে রয়েছে বিস্তৃত বনভূমির পাশাপশি সাত কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত, আছে লাল কাকরা। সাগরে যখন জোয়ারের পানি উথলে ওঠে তখন অনন্য এক সৌন্দর্য বিকশিত হয় সোনারচরে। তটরেখায় আছড়ে পড়ে ছোট-বড় ঢেউ। কুয়াকাটার ন্যায় সোনার চরের সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়েও সূর্যদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়। এছাড়া সোনার চরে আছে হরিণ, বানর, শুকরসহ নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণী।
সেই সাথে বিশহাজার ছাব্বিশ হেক্টর সংরক্ষিত বনভূমি। ২০০৮ সালে বঙ্গপসাগর তীরে ঘেষে জেগে উঠে সোনার চর। পরে পটুয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগ বনায়ন করে এ চরে। বনে ছাড়া হয় তিনশটি হরিণসহ বানর, বন্য মহিষ, শুকর ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী। রয়েছে নানা প্রজাতির পাখ-পাখিও। বঙ্গপসাগর তীরবর্তী এ চরে এখন প্রতিদিন শত শত ভ্রমণ পিপাসুরা আসেন বৈচিত্রময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে। (সোনার চরে একটা বিশাল খাল আছে, পুরোটাই সুন্দরবনের মতো সৌন্দর্যভাণ্ডার)।
প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের যে কোনো জায়গায় দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার বিরল সুযোগ। মনে হবে প্রকৃতির খেয়াল আপনাকে যেন আকড়ে ধরে রাখতে চায়।
কীভাবে যাবেন : সদরঘাট থেকে রাঙ্গাবালীর লঞ্চে উঠে চর-কাজল নামতে হবে। সদরঘাট থেকে লঞ্চ ছাড়ার সময় বিকাল ছয়টা। সেখান থেকে ছোট লঞ্চে করে চর-মন্তাজ নামতে হবে। সেখান থেকে ট্রলার ভাড়া করে সোনার চর যেতে হবে।