প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহবান জানিয়ে বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ চেয়েছেন।
জাতিসংঘ আয়োজিত বিশ্বনেতাদের জলবায়ু সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে অর্থায়নসহ ৪ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন।
বাংলাদেশ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। রয়েছে সম্পদের সীমাবদ্ধতা। এমন পরিস্থিতিতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ বিশ্ব নেতাদের স্বীকৃতি মিলেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফিরে আসা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করার আগ্রহকে বাংলাদেশ প্রশংসা করে।
বিশ্বে বাংলাদেশের সফলতার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন প্রতি বছর বাংলাদেশ জলবায়ু অভিযোজন এবং টেকসই অবকাঠামো নির্মাণে ৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে। যা আমাদের জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশ।
তিনি বলেন বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম রাখতে কার্বন নিঃসরন কমাতে উন্নত দেশগুলোকে তাৎক্ষণিক ও উচ্চবিলাসী পদক্ষেপ পরিকল্পনা গ্রহণ করা এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকেও প্রশমন ব্যবস্থার দিকে মনোযোগী হতে হবে। পাশাপাশি বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা ১০০ মার্কিন ডলার তহবিল নিশ্চিত করা এবং জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেয়ার মাধ্যমে এ তহবিলের ৫০ শতাংশ অভিযোজন ও ৫০ শতাংশ প্রশমনের জন্য কাজে লাগাতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন কোভিড-১৯ মহামারি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, বৈশ্বিক সঙ্কট শুধুমাত্র সবার সম্মিলিত দৃঢ় পদক্ষেপের মাধ্যমেই মোকাবিলা করা যেতে পারে।
প্রযুক্তির পাশাপাশি সবুজ অর্থনীতিতে গুরুত্ব দেওয়ার জন্যে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।