আন্দোলন-সংগ্রাম ও দলের প্রয়োজনে উপযুক্ত ভূমিকা রাখতে না পাড়ার দায় নিয়ে পাঁচ বছর পর বিদায় নিতে হলো ঢাকা মহানগর বিএনপির দুই কমিটিকে। নতুন আঙ্গিকে নতুনদের নিয়ে ঘোষিত হলো ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি।
সোমবার (২ আগস্ট) বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকা মহানগরের এই দুই কমিটি অনুমোদন করেছেন।
কমিটিতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপিতে আমান উল্লাহ আমানকে আহ্বায়ক এবং বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হককে সদস্য সচিব করে ৪৭ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণে আবদুস সালামকে আহ্বায়ক এবং রফিকুল আলম মজনুকে সদস্য সচিব করে ৪৯ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিএনপি।
সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৮ এপ্রিল গঠিত হয় ঢাকা মহানগর বিএনপির কমিটি। দুই বছর মেয়াদী সেই কমিটি পাঁচ বছর অতিক্রম করলেও পূর্নাঙ্গ করতে পারেনি মহানগরের কমিটি। পাশাপাশি ২০১৮ সালে দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে কারাবন্দীর সময়ও তেমন কোন ভূমিকা রাখতে পারেনি বিএনপির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই দুই কমিটি। এদিকে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন, ২০২০ সালে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে এই দুই কমিটি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়।
২০১৭ সালে সর্বশেষ এম এ কাইয়ুমকে সভাপতি ও আহসানউল্লাহ হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে উত্তরের এবং হাবিব উন নবী খান সোহেলকে সভাপতি ও কাজী আবুল বাশারকে সাধারণ সম্পাদক করে দক্ষিণের কমিটি গঠন করে বিএনপি।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি:
আহবায়ক- আমান উল্লাহ আমান যুগ্ম আহবায়ক- আব্দুল আলী নকি (গুলশান), আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার (তেজগাঁও), আতিকুল ইসলাম মতিন (মোহাম্মদপুর), মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন (বিমানবন্দর), ফেরদৌসি আহমেদ মিষ্টি (সাবেক কাউন্সিলর), এ জি এম শামসুল হক (বাড্ডা), মোয়াজ্জেম হোসেন মতি (কাফরুল), আতাউর রহমান (চেয়ারম্যান, ভাটারা), আক্তার হোসেন (খিলক্ষেত) এবং গোলাম মোস্তফা (তুরাগ)
সদস্য সচিব- আমিনুল হক (রুপনগর) সদস্য- তাবিথ আউয়াল (গুলশান), ফয়েজ আহমেদ ফরু (রামপুরা), শাহিনুর আলম মারফত (খিলক্ষেত), আলহাজ্ব আবুল হাসেম (আদাবর), মাহফুজুর রহমান (বাড্ডা), আলাউদ্দিন সরকার টিপু (বিমানবন্দর), তুহিনুল ইসলাম তুহিন (বাড্ডা), হাফিজুর রহমান ছাগির (উত্তরা পশ্চিম), সোহেল রহমান (মোহাম্মদপুর), এ্যাড: মো. আক্তারুজ্জামান (আদাবর), আবুল হোসেন আব্দুল (মিরপুর), মো. শাহ্ আলম (শেরে-বাংলানগর), এল রহমান (তেজগাঁও), আফাজ উদ্দিন (উত্তরা পশ্চিম), আহসান হাবিব মোল্লা (উত্তর খান), সালাম সরকার (উত্তরা পূর্ব), গোলাম কিবরিয়া মাখন (ভাষাণটেক), এ বি এম রাজ্জাক (মিরপুর), তারিকুল ইসলাম তালুকদার (ক্যান্টনমেন্ট), হাজী মো. ইউসুফ (মোহাম্মদপুর), আলী আকবর আলী (দক্ষিণ খান), আহসান উল্লা চৌধুরী হাসান (কাফরুল), মিজানুর রহমান বাচ্চু (বনানী), হুমায়ন কবির রওশন (শাহ আলী), আমজাদ হোসেন মোল্লা (রূপনগর), রেজাউর রহমান ফাহিম (বনানী), মাহবুব আলম মন্টু (পল্লবী), হাফিজুর হাসান শুভ্র (দারুস-সালাম), জাহাঙ্গীর মোল্লা (বাড্ডা), আজহারুল ইসলাম সেলিম (ভাটারা), শফিকুল ইসলাম শাহিন (গুলশান), আফতাব উদ্দিন জসিম (শেরে-বাংলানগর), মো. হানিফ মিয়া (শাহ আলী), মো. মোজাম্মেল হোসেন সেলিম (তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল) এবং মো. জিয়াউর রহমান জিয়া (মিরপুর)
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি:
আহবায়ক- আবদুস সালাম যুগ্ম আহবায়ক- নবী উল্ল্যাহ নবী (যাত্রাবাড়ী), ইউনুস মৃধা (খিলগাঁও), মো. মোহন (কোতয়ালী), মোশারফ হোসেন খোকন (লালবাগ), আব্দুস সাত্তার (সূত্রাপুর), সিরাজুল ইসলাম সিরাজ (কলাবাগান), আ. ন. ম সাইফুল ইসলাম (শ্যামপুর), হারুন উর রশিদ হারুন (মতিঝিল), তানভীর আহমেদ রবিন (কদমতলী), লিটন মাহমুদ (স্বেচ্ছাসেবক দল), এস. কে সেকেন্দার কাদির (পল্টন) এবং মনির হোসেন (চেয়ারম্যান, কামরাঙ্গীরচর)
সদস্য সচিব- রফিকুল আলম মজনু (শান্তিনগর) সদস্য- ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, ফরিদ উদ্দিন (সূত্রাপুর), গোলাম হোসেন (সবুজবাগ), সাব্বির হোসেন আরিফ (গোপীবাগ), এডভোকেট ফারুকুল ইসলাম (খিলগাঁও), মকবুল হোসেন টিপু (গেন্ডারিয়া), আবদুল হান্নান (শাহবাগ), আরিফুর রহমান নাদিম (বংশাল), আনোয়ার হোসেন বাদল (চকবাজার), কে. এম জুবায়ের এজাজ (ধানমন্ডি), ফরহান হোসেন (যাত্রাবাড়ী), লতিফ উল্লাহ জাফরু (বংশাল), এডভোকেট মকবুল হোসেন সর্দার (নিউ মার্কেট), মোহাম্মদ আলী চায়না (মুগদা), আবদুল আজিজ (হাজারীবাগ), জামিলুর রহমান নয়ন (যুবদল), হাজী শহিদুল ইসলাম বাবুল (চকবাজার), আকবর হোসেন নান্টু (ডেমরা), শামছুল হুদা কাজল (মুগদা), সাইদুর রহমান মিন্টু (দপ্তর), এস এম আব্বাস (পল্টন), লোকমান হোসেন ফকির (পল্টন), জুম্মন হোসেন (চেয়ারম্যান, দনিয়া), ফজলে রুবায়েত পাপ্পু (শাহজাহানপুর), আবদুল হাই পল্লব (ডেমরা), এডভোকেট মহি উদ্দিন চৌধুরী, আরিফা সুলতানা রুমা (ছাত্রদল), সাইফুল্লাহ খালেদ রাজন (ছাত্রদল), ওমর নবী বাবু (গেন্ডারিয়া), আবুল খায়ের লিটন (হাজারীবাগ), নাছরিন রশিদ পুতুল (মহিলা কমিশনার), নাদিয়া পাঠান পাপন (ছাত্রদল), হাজী নাজিম (কোতয়ালী), জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী (নিউ মার্কেট) এবং জামশেদুল আলম শ্যামল (যাত্রাবাড়ী)