বোলারদের ক্ষেত্রে উচ্চতা একটা ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে পেসারদের ক্ষেত্রে। পেস সহায়ক উইকেটে পেসাররা যেমন ভয়ংকর সব শর্ট বল দিতে পারেন; স্পিনাররাও বাউন্স আর টার্ন আদায় করে নেন। উচ্চতার দিক দিয়ে অজিদের খেকে বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা অনেক খাটো। কিন্তু এই উচ্চতাই সাকিব-নাসুমদের জন্য শাপে বর হয়েছে। মিরপুরের উইকেটে ভেঙে পড়েছে অস্ট্রলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপ। এমনটাই মন করেন অজি স্পিনার অ্যাস্টন আগার।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে দেওয়া সাক্ষাতকারে অ্যাস্টন আগার বলেন, ‘১৮৯ সেন্টিমিটার উচ্চতা দিয়ে আমি কিছুই করতে পারছি না, সেখানে ১৬৭ সেন্টিমিটারের শেখ মেহেদী দুই দলের স্পিনারদের মধ্যে সবচেয়ে কম রান দিয়েছে। তারা স্টাম্প লক্ষ্য করে বল করে বেশি। বাতাসে বেশি সময় ধরে বল রাখে। তাদের বল ব্যাটসম্যানদের কাছে নিচ থেকে ওপরের দিকে ওঠে। যেখানে অনেক সময় স্পিনারদের বল ওপর থেকে নিচে এসে থাকে।’
এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত দুই ম্যাচে মেহেদি ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৪.৮৫ করে। সেটাও আবার পাওয়ার প্লেতে। এর পেছনে স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথের অবদানের কথাও বলেছেন আগার, ‘তাদের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ। বাংলাদেশি বোলাররা যা করছে, সেটি হেরাথ একসময় দারুণভাবে করত। সে এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ। সাকিব প্রথম দুই ম্যাচেই কিছু বল করেছে, যেগুলো রীতিমতো গড়িয়ে এসেছে। বাংলাদেশি স্পিনাররা একধরনের বিভ্রান্তিকর লেংথে বোলিং করে। বলকে বাউন্স করানো, নিচু করে দেওয়া, বাতাসে বেশিক্ষণ বল ভাসিয়ে রাখার ক্ষমতাটাই ওদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য।’