বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া টি টোয়েন্টি সিরিজের লাস্ট ব্যাটল। যেখানে টাইগারদের সাফল্য ধরে রাখার পালা আর অজিদের ব্যবধান কমানোর চেষ্টা, কিন্তু স্লো উইকেটে হোম অ্যাডভান্টেজের কারণে এই ম্যাচেও বাংলাদেশই ফেভারিট।
টাইগারদের ওপেনিংয়ে আসতে পারে পরিবর্তন। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬ টায়।
নিছকই একটা বাজে দিন মাত্র। ফেলে আসা দিনটা এভাবেই চিরকালীন অতীত হয়ে যাক। সাকিব যে এক যোদ্ধার নাম, জয় যার নেশা, নিজেই নিজের অনুপ্রেরণা। এক ওভারে যাই হোক এই সাকিবই যে শেষ ম্যাচের শেষ ভরসা।
হাসি মাখা পাশের মোস্তাফিজ হাসি ফুটিয়ে যাচ্ছে বাংলায়, টানা ৪ ম্যাচেই গগনবিদারী আওয়াজ তুলেছে, পারফরম্যান্সে মুগ্ধতা ছড়িয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজে ওরা দুজন যদি হয় ধ্রুবতারা, বাকীরাও করেছে আনন্দে আত্মহারা। সেই আনন্দে দাড়ি কমা টানার দিন এসেছে। সোমবার ৫ ম্যাচ টি টোয়েন্টির শেষটাতে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হচ্ছে। যথারীতি মিরপুরে খেলা শুরু সন্ধ্যা ৬ টায়।
এই সিরিজে দুই দলের মাঝে একটা দেয়াল আছে, স্লো উইকেট তার নাম। ব্যাটসম্যানদের করার তেমন কিছু নেই, বোলারদেরই খেলা। যে খেলায় খেল দেখিয়ে যাচ্ছে টাইগার ইউনিট।
মোস্তাফিজ সেরা ফর্মে, শরিফুলও একই পথের অনুসারী। স্পিনেতো নাসুম, মেহেদিরা সাফল্যের মইয়ে চড়ে আকাশ ছোঁয়ার অপেক্ষায়। তাইতো ১০৪ রানের পুঁজিতেও জয়ের পথ তৈরি করতে পারে বাংলাদেশ।
তবে, কঠিন উইকেটে ব্যাটিংটা আরো কঠিন করে দিচ্ছেন ওপেনার সৌম্য সরকার। ৪ ম্যাচেই ব্যর্থ, রান করেছেন ১২, গড় ৩। হেলায় হারানো সুযোগটা বোধহয় আর মিলছেনা। হ্যাজলউড, অ্যাগারদের সামলাতে শেষ ম্যাচে তার বদলি হতে পারেন মোহাম্মদ মিঠুন।
অনেক খুঁজে অজিরা যখন জয়ের দেখা পেয়েছে, তখন কোন পরিবর্তন আনছেনা পরের ম্যাচে। মিডলঅর্ডার নির্ভর দল গড়লেও ঠিকমতো কাজে দিচ্ছিলো না। এদিনও তাই তাদের চেয়ে থাকতে হবে ইনফর্ম মিচেল মার্শ আর ড্যান ক্রিশ্চিয়ানের দিকে।
এই মুহূর্তগুলোতে স্মৃতি হাতড়ালে অস্ট্রেলিয়া কেবল হতাশাই খুঁজে পাবে, অনুপ্রেরণা আর অপার আত্মবিশ্বাস বাংলার ঘরে যাবে। আপন শক্তির সে বিশ্বাসে আর একবার জ্বলে উঠলেইতো টাইগার থাবায় ক্ষত বিক্ষত হয়ে অজিদের দেশে ফিরতে হবে, ৪-১ এ হারার লজ্জাটাও ওদের সঙ্গী হবে।