প্রথমবার ক্ষমতা দখল করে তালেবান ইন্টারনেট, টেলিভিশন, রেডিও ও ইলেকট্রনিক যন্ত্র নিষিদ্ধ করেছিল। ছবি দেখা যায় এমন সব প্রযুক্তি-যন্ত্র কারও কাছে পেলে তাকে শাস্তি দিত তারা। তবে এবার সেই তালেবান নিজেদের স্বার্থে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করছে। তাদের বক্তব্য-বিবৃতি ও বার্তা দিতে স্মার্টফোনকে হাতিয়ার করেছে। অস্ত্রের যুদ্ধের পাশাপাশি স্মার্টফোনকে ব্যবহার করছে নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের মাধ্যম হিসেবে।
তালেবানের জন্য স্মার্টফোনকে নতুন অস্ত্র হিসেবে বর্ণনা করেছে নিউইয়র্ক টামইস। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের এ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৪ আগস্ট তালেবানের একটি সাময়িকীর পোর্টালে ভিডিওবার্তা পোস্ট করে তারা। তাতে আফগানিস্তানের সরকারি বাহিনীর সদস্যদের প্রতি বলা হয়- আত্মসমর্পণ করো, অক্ষত অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হবে। অথবা মৃত্যুকে বরণ করো।
একই দিন তালেবান এক টুইট বার্তায় বলে- কূটনীতিক, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দেশি-বিদেশি দাতব্য সংস্থার কর্মীদের কোনো ভয় নেই। সবার জন্য নিরাপদ পরিবেশ বজায় থাকবে।
তালেবান সদস্যদের হাতে হাতে এখন স্মার্টফোন। আফগানিস্তানের বিভিন্ন শহর দখল করার পাশাপাশি স্মার্টফোনের মাধ্যমে গত এক মাস ধরে তারা বিশ্বের প্রতি তাদের সম্পর্কে ইতিবাচক বার্তা প্রচার করেছে। আমেরিকা সমর্থিত সরকার নয়, তালেবানই আফগানিস্তানের উপযুক্ত শাসক- এ বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে তারা।