ইলিশের ভরা মৌসুমেও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে মিলছে না কাঙ্খিত রূপালি ইলিশ। বরগুনা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র জানিয়েছেন, চার বছরে ইলিশ ধরার পরিমাণ নেমেছে এক তৃতীয়াংশে।
মাছ না পাওয়ায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন জেলে ও ব্যবসায়ীরা। দাবি উঠেছে বরগুনার তিনটি নদী ও মোহনাকে ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণার।
শরৎ মানেই ইলিশের মৌসুম, অথচ এবার সে ব্যস্ততা নেই। পাথরঘাটা মৎস অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের বেশিরভাগ ট্রলার সাগর থেকে ফিরছে খালি অবস্থায়।
অথচ চার বছর আগেও ইলিশের এই মৌসুমে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ইলিশ কেনা-বেচায় মুখর থাকতো এই জায়গা। পাইকাররা বলছেন মাছ না পাওয়ায় লোকসানে রয়েছেন তারা।
আর মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির নেতারা জানান, সরকারি গবেষণায় ইলিশের বৃদ্ধি দেখালেও বাস্তবে সাগরে মিলছে না কাঙ্খিত ইলিশ।
মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের তথ্যও বলছে, ২০১৭ সালে চার হাজার মেট্রিক টন ইলিশ পাওয়া গেলেও, ২০২০ সালে প্রায় এক হাজার সাতশ’ মেট্রিকটন কম ইলিশ সংগ্রহ হয়।
এদিকে ইলিশ রক্ষায় বরগুনার পায়রা, বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর পাশাপাশি সাগরের মোহনাকে অভয়াশ্রম ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন গবেষকরা।
বরগুনা উপকূলে প্রায় দেড় লাখ জেলে রয়েছে। যাদের মধ্যে প্রায় ৮০ হাজারই ইলিশ শিকার করেন।