কারাগার থেকে বেরিয়ে পরীমণি হাতে মেহেদি দিয়ে লেখা ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’ দেখিয়ে যে বার্তা দিয়েছেন, সে বিষয়ে তার বক্তব্য, ‘যারা আমাকে ওপরে ওপরে ভালোবাসা দেখায়, তারা এখন আবার আমার কাছে আসবে, আমার চারপাশে ঘুরবে। আমাকে ভালোবাসা দেখাবে। এ বার্তা আসলে তাদের জন্যই।
ঢাকা সিনেমার আলোচিত এ নায়িকা বলেন, এই ২৭ দিনে মানুষ চেনা হয়েছে। কারা আমার কাছের আর কারা দূরের বুঝেছি। খুব ভালোভাবেই চেনা হয়েছে।
তিনি বলেন, আসলে যারা আমাকে চেনেন, তারা কিছু বললে আমার খারাপ লাগে। যারা চেনেন না, তারা বললে কোনো খারাপ লাগে না। কারণ তারা তো আমাকে চেনেনই না। আমি কোথা থেকে এসেছি, কীভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছি, তার কিছুই তো জানেন না তারা। জানলে হয়ত আমাকে নিয়ে কটূ কথা বলতেন না। খারাপ লাগে, যারা জেনেও পেছনে কথা বলেন।
যে ক্রাইসিস গেল, তা উতরে সামনে এগোতে পারবেন, প্রশ্নে পরী বলেন, আমি ভেঙে পড়ার মেয়ে না। ভেঙে পড়লেও উঠে দাঁড়াব। আমাকে যারা চেনেন, তারা জানেন, আমি কেমন। আমি এখন দ্রুত কাজে ফেরার অপেক্ষা করছি।
২৭ দিন কারাগারে থাকার পর বুধবার জামিনে মুক্তি পান পরীমণি। এরপর সরাসরি তার বনানীর বাসায় ফেরেন। ফেরেই আরেক পরিস্থিতি মুখোমুখি প্রীতিলতা হতে যাওয়া এ নায়িকা। বাসা ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছে তাকে।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, বাসা ছাড়ার নোটিশ পেয়েছি। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই বাসাটি ছাড়তে হবে।
তিনি আরও বলেন, নোটিশ কেন দেবে না, সেটা বলুন! গত কয়েক মাসে কতকিছুই তো ঘটল। বাসার মালিক এত কিছু সহ্য করেছে, এটাই কম কিসে। আমার বাসা হলে তো আমিই সহ্য করতে পারতাম না। বাসার গেটে ক্যামেরা তাক করা থাকে, এই র্যা ব, পুলিশ। এ বাসায় তো আমি একা থাকি না। অন্য অনেকেই আছেন। আমার জন্য তো তাদের সমস্যা হয়। অন্যদের সমস্যায় ফেলা তো ঠিক না। সবাই তো আর ক্যামেরায় ইউজ টু না।
কাজে ফেরা প্রসঙ্গে পরীমণি বলেন, কাজ নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলিনি এখনও। মাত্রই তো এলাম। বাসায় এসে গোসল করলাম, খেলাম। তবে যত দ্রুত ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে পারব, ততই আমার জন্য মঙ্গল হবে। নির্মাতাদের সঙ্গে কথা বলব ভাবছি। দ্রুতই কাজে ফিরতে চাই।