ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কথা উল্লেখ করে অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া বলেছেন, তিনি কখনও প্রকাশ্যে কোথাও এই কোম্পানিকে প্রমোট করেননি। কখনও কাউকে কোম্পানিটির প্রতি বিশ্বাস কিংবা আস্থা রাখতেও বলেননি। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।
ইভ্যালির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘দুদিন ধরে খেয়াল করছি আমার সঙ্গে কথা না বলে কেউ কেউ বিভিন্ন রকমের সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করছে। সেসব খবরের শিরোনাম দেখে ভেতরের খবর না পড়ে মন্তব্য করতে কিছু মানুষের সম্ভবত খুব ভাল লাগে! যা সত্যি খুবই দুঃখজনক। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে আমি অনুভব করি, গণমাধ্যমকর্মীদের কেন যেন আমার প্রতি বিশেষ ভালবাসা আছে। তবে কয়েকজন কারণে-অকারণে আমাকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশে বিশেষভাবে আগ্রহী থাকেন। সম্ভবত আমি সবসময় কল রিসিভ করতে পারি না, ভনিতা করি না, কাউকে তেলানোর ক্ষমতা আমার নেই- এমন আরও কিছু কারণ থাকতে পারে। তাই বেশিরভাগ সাংবাদিক ভাইদের প্রিয় তালিকায় আমার নাম একদম শেষের দিকে।’
এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ”কিছু বিষয় এখন পরিষ্কার করার সময় এসেছে। আমি জুন-জুলাই এই দুই মাস একটি ‘ই-কমার্স সাইটে’ তাদের গণসংযোগ বিভাগে কাজ করেছি। আমি সেখানে যোগদানের ১৫ দিন পর থেকেই বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি রিপোর্ট চলে আসায় তাদের কার্যক্রম অনেকটাই কমে এসেছিল। জুলাইয়ের পর আমার দাপ্তরিক কোনো কাজই ছিল না! তাই আগস্টে আমি চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে আসি। অনেকেই জানতে চেয়েছেন, আমাকে দেখে কেউ অর্ডার করে থাকলে তাতে আমার মতামত কী? আমি যোগদানের পরের সপ্তাহ থেকেই ‘সাইক্লোন অফার’ বন্ধ হয়ে T10 চালু হয়েছে; যেটি ছিল, যেখানে পণ্য পেলেই টাকা দেবে! সুতরাং আমাকে দেখে অর্ডার দিয়ে ফেঁসে যাওয়ার কোনো সুযোগই নেই। কেউ নিজেকে এসব বলে সান্ত্বনা দিলে কিংবা নিজ স্বার্থ হাসিলে শুধু হেনেস্তা করার জন্য আমাকে টানলে আমার সত্যিই কিছু বলার/করার নেই। তাছাড়া আমি কখনও প্রকাশ্যে কোথাও এই কোম্পানি প্রমোট করিনি। কখনো বলিনি আপনারা বিশ্বাস রাখেন কিংবা আস্থা রাখেন। কারণ সেখানে দাপ্তরিক কাজের বাইরে আমার কোনো কিছু প্রচার-প্রকাশের কোনো চুক্তি ছিল না। যেহেতু আমি পেশায় অভিনেত্রী সুতরাং আমাকে কোনো কোম্পানির প্রচারে কাজে অংশ নিলে আলাদা সম্মানি দিতে হয়। সেখানে সেই সুযোগ নেই।’
শবনম ফারিয়া বলেন, ‘আমি শুধু আমার ব্যক্তিগত প্রোফাইল থেকে ১০০০ কোটি টাকার যে চুক্তি হওয়ার কথা ছিল সেই সংবাদ শেয়ার করেছিলাম। যেটা সেদিন বাংলাদেশের ফেসবুক ইউজার মানুষের মধ্যে সম্ভবত অর্ধেক মানুষই শেয়ার করেছিল। এখন কথা হলো আমি চাকরি ছাড়ার পর কেন জানাইনি! কারণ আমি অহেতুক আলোচনার অংশ হতে চাইনি। আরিফ আর হোসাইন ভাই যখন বললেন, তিনি আর এখানে কাজ করছেন না। তখনও আপনারা তাকে নিয়ে ট্রোল করলেন। চাকরি ছাড়লেও সমস্যা, কাজ করলেও সমস্যা! কোথায় যাবো? অপ্রয়োজনীয় আলোচনার অংশ হতে ভালো লাগে না। কিন্তু আমার ভাগ্য এতো খারাপ কেন যেন আমারই সবসময় আলোচনা/সমালোচনায় পড়তে হয়।
তিনি আরও লেখেন, ‘এখন আরেকটা কথা; কিছু গণমাধ্যম লিখছে আমি নাকি অভিযোগ করেছি বেতন পাইনি! কাকে অভিযোগ করেছি? কখন অভিযোগ করেছি? কিভাবে করেছি? এই প্রমাণ কেউ দিচ্ছে না! আমার অভিযোগ থাকলে সেটা আমি প্রতিষ্ঠানটির এইচআর ডিপার্টমেন্টে করবো। সাংবাদিক ভাইদের কেন করবো? তারা কি আমাকে বেতন দেবে? আমি যেই কোম্পানিতে কাজ করেছি তারা এখন একটা খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আশা করবো তারা সব দায় পরিশোধ করে গ্রাহকদের পাশে থাকবে!’