ই-কমার্সের নামে প্রতারিত হওয়ায় গ্রাহকদের লোভ কমাতে জনস্বার্থে প্রচারণা চালাতে পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একটি রিট আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মুস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ পরামর্শ দেন।
ফোনালাপে আড়িপাতা প্রতিরোধ ও ফাঁস হওয়া ফোনালাপের ঘটনায় রিটের শুনানির এক পর্যায়ে আইনজীবী শিশির মনিরের কাছে ই-কমার্স বিষয়ে জানতে চান আদালত। তখন শিশির মনির বলেন, ‘একটি আরেকটির সঙ্গে সম্পর্কিত। আমাদের দেশে ই-কমার্সের নামে অনেক বেশি ফ্রি অফার থাকে। অফার নেওয়ার পর গ্রাহক জানতে চেয়েছে পেমেন্ট কীভাবে দেবে, যা বিদেশি প্রতিষ্ঠান আলিবাবা, অ্যামাজনে থাকে না। অথচ আলিবাবা ও আমাজন অফার দেয়, পণ্যের দাম ২৬ ডলার, সঙ্গে পরিবহন খরচ দিতে হবে দুই দশমিক ছয় ডলার। আমাদের দেশের গ্রাহকরা অতি লোভে পড়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।’
বাংলাদেশ ব্যাংক একটি গেটওয়ে করে দিয়েছে। এই গেটওয়ে দিয়ে অনলাইনে টাকা পরিশোধ করে ই-অরেঞ্জ অ্যাকাউন্টে গিয়ে টাকাটা জমা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের গেটওয়ে দিয়ে এ পেমেন্টের অনুমোদন কেন দেওয়া হলো?
শিশির মনির বলেন, ‘ই-অরেঞ্জের কাছে গিয়ে ওই টাকা কোথায় যাচ্ছে, এর কোনো লিঙ্ক পাওয়া যায় না।’
তখন আদালত বলেন, ‘গ্রাহকরা এক অর্থে প্রতারণার শিকার, আরেক অর্থে নিজেরা লোভের শিকার। আমরা তো দেখি, একটা কিনলে আরেকটা ফ্রি। প্লেনের টিকিট কিনলে হোটেল ফ্রি। এ জন্য লোভও দায়ী। বাংলাদেশ ব্যাংকের গেটওয়ে দিয়ে এই লেনদেন করতে দেওয়াটা ঠিক হয়নি। আপনারা তো পাবলিক ইন্টারেস্টের মামলা করেন। আপনাদের উচিত পাবলিকদের সচেতন করা, তারা যেন এক্ষেত্রে লোভ কমান।