জমিদার বাড়ি মানেই তো অপূর্ব কারুকাজ করা বিশাল অট্টালিকা। যার দেয়ালের পরতে পরতে সৌন্দর্যের ছোঁয়া। শানশওকত আর চাকচিক্যের কথা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে দেশের বেশিরভাগ জমিদার বাড়িই এখন পরিত্যক্ত। সেক্ষেত্রে অনন্য মহেরা জমিদার বাড়ি। এখনও কারুকাজ করা বাড়িগুলো দাঁড়িয়ে আছে সদর্পে।মহেরা জমিদার বাড়ির অবস্থান টাঙ্গাইলে। যমুনা, ধলেশ্বরী ও বংশী নদীবিধৌত এ জেলার সবচেয়ে বড় ও মনোমুগ্ধকর জমিদার বাড়ি এটি। এতটা সময় পেরোলেও ঐতিহ্যপ্রেমী মানুষেরা এখনো ছুটে যায় নিদর্শনগুলোর কাছে। গবেষকরা খুঁজে দেখেন, জানার চেষ্টা করেন চোখে না দেখা জীবনকে।
মহেরা জমিদার বাড়ির দুটি প্রধাণ ফটক রয়েছে। এখানে আছে কাছারি ঘর, নায়েব সাহেবের ঘর, গোমস্তাদের ঘর আর দীঘি। তিনটি লজও রয়েছে; এগুলোর নাম- চৌধুরী লজ, আনন্দ লজ ও মহারাজ লজ। বাড়ির সামনেই আছে বিশাল এক দীঘি নাম বিশাখা সাগর। ভবনগুলোর পেছনে আছে পাসরা পুকুর এবং রানী পুকুর নামে দুটি পুকুর।
জমিদার বাড়ির চারপাশও আপনার মন ভরিয়ে দেবে। নানা বৈচিত্র্যের ফুলের বর্ণ ও গন্ধের সমারোহে মুগ্ধ হবেন, এটা নিশ্চিত। এক কথায় যেন ধরায় স্বর্গধাম। কালের বিবর্তনে ফুলে-ফলে, পত্র-পল্লবে শোভিত হয়ে উঠে কালের স্বাক্ষী এ দৃষ্টিনন্দন জমিদার বাড়ি। দৃষ্টিনন্দন এই জমিদার বাড়ির রয়েছে এক কলঙ্কিত স্মৃতি।