কমতে শুরু করেছে মহামারী করোনার সংক্রমণ। ভার্চুয়াল জগৎ থেকে বেরিয়ে দেশের রাজনীতিও মাঠ মুখী হতে শুরু করেছে । দলীয় কর্মকাণ্ড আরো গতিশীল করতে এরই মধ্যে তৎপরতা শুরু করেছে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। দলীয় রাজনীতিকে আন্দোলনমুখী করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপি। আর আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে আরো সু সংগঠিত করছে আওয়ামী লীগ।
বর্তমান নির্বাচন কমিশিনের মেয়াদ বাকী আমার পাঁচ মাস। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন প্রকৃয়া শুরুর আগেই রাজনীতির মাঠ গরম করতে চায় বিএনপি।
একই সঙ্গে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং দলীয় চেয়ারপার্সনের মুক্তির দাবী আদায়ে রাজপথকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে দলটি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের ধারাবাহিক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
রাজ পথের আন্দোলনে দায়িত্ব পাওয়া নেতারা অনুপস্থিত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে দেড় দশক ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি।
তবে সরকার দল আওয়ামী লীগের ভাবনায় আগামী নির্বাচন। আর এ জন্য সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডকে আরো গতিশীল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। তৃণমূল পর্যন্ত দলকে ঢেলে সাজাতে মেয়াদউত্তীর্ণ সকল সাংগঠনিক ইউনিটের সম্মেলন দ্রুতই শেষ করবে দলটি।
দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা দলটির তৃনমূলে কোথাও কোথাও কোন্দল তৈরি হয়েছে স্বীকার করে কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, নির্বাচনের আগে এইসব বিরোধ মিটিয়ে ফেলা হবে অন্যতম প্রধান কাজ।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বলছেন, মাঠপর্যায়ে সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোহ নেয়া হয় গত সম্মেলনের পরপরই। কিন্তু করোনা বাস্তবতায় এ উদ্যোগ কিছুটা বিলম্বিত হয়।