নাগরিক কোলাহল আর যাপিত জীবনের নানা ব্যস্ততার মাঝে আমাদের অগোচরেই এসেছে শরৎ। শরৎ মানেই নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা এবং কাশফুলের শুভ্রতা।
কবি জীবনানন্দ দাশ শরৎকে দেখেছেন এভাবে- ‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর।’
ষড়ঋতুর এ দেশে ঋতু পরিবর্তনের পালাবদলে শুরু হয়েছে শরৎকাল। ঋতু অনুসারে ভাদ্র-আশ্বিন মাসজুড়ে থাকবে শরৎকাল।
শরৎ এমনই এক ঋতু, যা স্নিগ্ধতার আবেশ ছড়িয়ে স্মৃতিকে নাড়া দেয়। প্রকৃতিতে যখন শরৎকাল আসে তখন কাশফুলই জানিয়ে দেয় এর আগমনী বার্তা। এই ঋতুতে পালকের মতো নরম ও ধবধবে সাদা রঙের কাশফুল ফোটে।
বর্ষা ঋতুকে বিদায় জানিয়ে নীল আকাশের সাদা তুলোর মতো মেঘের সঙ্গে কাশফুলের মৃদু বাতাসে আন্দোলন প্রকৃতিতে ছড়ায় মুগ্ধতা। নীল আকাশের নিচে সাদা কাশফুল যখন বাতাসের দোলায় দুলতে থাকে, তখন মনে হয় শ্বেতবসনা একঝাঁক নৃত্যশিল্পী নৃত্য করছে।
বাংলা সাহিত্যে শরৎকাল ও কাশফুলের কথা এসেছে নানাভাবে। শরৎ ও কাশফুলের বন্দনা করা হয়েছে কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতায়- ‘কাশফুল মনে সাদা শিহরণ জাগায়, মন বলে কত সুন্দর প্রকৃতি, স্রষ্টার কি অপার সৃষ্টি।’ রবীন্দ্রনাথ প্রাচীন গ্রন্থ ‘কুশজাতক’ কাহিনী অবলম্বন করে ‘শাপমোচন’ নৃত্যনাট্য রচনা করেছেন।