রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামে বিএনপির অন্যতম ভরসা জাতীয়তাবাদী যুবদল। আগামীতে নানা ইস্যুতে আন্দোলনে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে যুবদল পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এদিকে দুই বছর পর বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। সবকিছু মাথায় রেখে গুরুত্বপূর্ণ এই সংগঠনকে উজ্জীবিত ও সক্রিয়ভাবে মাঠে চায় বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এজন্য সংগঠনের নেতৃত্বে পরিবর্তনের কথা ভাবছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কমিটি ঘোষণার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু না জানালেও অক্টোবরের মধ্যে তিনি কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল কমিটি গঠনের বাকি কাজ শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন যুবদল নেতাদের। কমিটি গঠনের কাজ সম্পন্ন হলেই নতুন নেতৃত্ব আসতে যাচ্ছে সংগঠনটিতে।
এদিকে যুবদল নেতাদের নির্দেশে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের অন্তর্ভুক্ত থানা ও ওয়ার্ড কমিটি পূনর্গঠন চলছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের অন্তর্ভুক্ত কোতায়ালি থানা যুবদলের কমিটিতে আহবায়ক / সদস্য সচিব পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা দৌড়ঝাপ লবিং তদ্বির শুরু করেছেন।
প্রার্থীদের সমর্থনে তাদের সমর্থক অনুসারীরা ইতোমধ্যে প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্টার লিফলেট আপলোড করে কর্মীদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পছন্দের আশীর্বাদপুষ্ট নেতারা তাদের ছবিসহ পোস্টার ছাপিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। সরগরম হয়ে উঠেছে কোতায়ালি থানার রাজনৈতিক প্রাঙ্গন। ঝিমিয়ে পড়া কর্মীদের মাঝে ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য।
কোতোয়ালি থানা যুবদলের নেতা-কর্মীদের সূত্রমতে জানা যায়, থানা যুবদলের আহবায়ক পদে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন আলম মাতাব্বর। তিনি অনেকটা সন্তোষজনক অবস্থানে রয়েছেন।
মাঠের রাজনীতিতে তার দীর্ঘ ত্যাগ, কঠোর পরিশ্রমের সুফল তিনি পাবেন বলে মনে করছেন যুবদলের নেতা-কর্মীরা। নেতা-কর্মীরা মনে করেন দলের চরম দুঃসময়ে পরিক্ষিত নেতৃত্বের হাতে দায়িত্ব অর্পণ করা এখন সময়ের দাবি।
আলম মাতাব্বর স্থানীয় রাজনীতিতে নিজের মেধা যোগ্যতায় একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছেন। তিনি কোতায়ালি থানা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমান কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে সততা ও নিষ্ঠার সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
বিগত সময়ের রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে তার নিরলস পরিশ্রম রয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে তিনি সবসময়ই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। রাজপথে একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ করেছেন। পুলিশী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ২০১৭ সালে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত বিশেষ জজ আদালত প্রাঙ্গন হতেও তিনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ করেন।
আহবায়ক প্রার্থী আলম মাতাব্বর বলেন, আমি দুঃসাহসী ভূমিকায় দলের যে কোনও ডাকে রাজপথে থেকেছি। কখনও পিছু হটে যাইনি। জেল জুলুম ভোগ করেছি। প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে সহযোদ্ধাদের নিয়ে রাজপথে লড়াই করেছি। আমার ত্যাগ, শ্রম বিবেচনায় আমাকে দল মূল্যায়ন করবে। আমাকে আহবায়ক করলে আমি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট কোতোয়ালি থানা যুবদলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী ইউনিট হিসেবে গড়ে তুলব ইনশাআল্লাহ।