সুপার টুয়েলভের পাঁচ ম্যাচের চারটিই ভারত খেলবে একই ভেন্যুতে। তাই উঠেছে প্রশ্ন, গ্রুপের বাকি সব দল তিন ভেন্যুতে ঘুরে ফিরে খেললেও ভারতকে কেনো একই ভেন্যুতে রাখা হচ্ছে, তবে কি ভারত আইসিসির কাছ থেকে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে?
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব সময় আলোচিত নাম ইন্ডিয়া, খেলায় যেমন ভারত সেরা, তেমন সেরা ছড়ি ঘোরানোয়। আইসিসিতে দলটি বেশি ডলার দেয় বলে, আধিপত্যও থাকে বেশি।
কখনও কখনও রাখ ঢাক করলেও, কখনো আবার প্রকাশ্যেই আইসিসিকে নিজেদের অবদানের কথা মনে করিয়ে দেয় ভারতের কর্তারা।
আর, সেই আধিপত্যের উজ্জ্বল উদাহরণ আইপিএল, গেলো ও চলতি বছরেও আইপিএলের জন্য বদলে গেছে আইসিসির শিডিউল। এমনকি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের সময়ও বদলে দিতে বাধ্য হয়েছিলো ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা- আইসিসি।
২০১৫ সালে ভারতের আচরণ দেখেছিলো বাংলাদেশ, ভারতের বিপক্ষে সেই খেলায় আম্পায়ারের বিতর্কিত নো বল নিয়েই হয়েছিলো যতো আলোচনা। বাংলাদেশ সমর্থকদের অনেকে সেই থেকেই আইসিসি ডাকে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল নামে।
সময়ের চাকায় ভর করে বিশ্বকাপ এগিয়ে গেলেও, একটা অভিযোগ আছে আগের মতোই। শুধু বাংলাদেশ সমর্থক নয় অনেক দেশ থেকেই অভিযোগ আসছে আইসিসিতে চরমভাবে প্রভাব খাটাচ্ছে সৌরভের বোর্ড। সাউথ আফ্রিকার গ্রায়েম স্মিথও সামনে এনেছেন সেই মোড়ল তত্ত্ব।
এবারের বিশ্বকাপেও আলোচনায় ভারত, অভিযোগ উঠেছে এবারও বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে টিম ইন্ডিয়া। সব দল তিন ভেন্যুতে ঘুরে ফিরে খেললেও ভারত প্রায় সব ম্যাচই খেলবে একই ভেন্যুতে একই সময়ে।
আইসিসির সময়সূচি বলছে, কেবল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ছাড়া বাকি সব ম্যাচ ভারত খেলবে দুবাইয়ের মাঠে। সব ম্যাচের সময়ই বাংলাদেশ রাত আটটা। যখন মরুর বুকে নামবে আঁধার কমে যাবে তাপ।
অনেকই বলছেন, একই ভেন্যুতে খেলায় ভারত পাবে বাড়তি সুবিধা, নিতে হবে না ভ্রমণের ঝক্কি। ফলে, উত্তপ্ত মরুতেও ক্রিকেটাররা পাবে স্বস্তি, ফিটনেস থাকবে ঠিকঠাক, বলে ব্যাটে ওরা করবে মাস্তি।