চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনটা যদি বাংলাদেশের ধরা হয় তাহলে দ্বিতীয় দিনের পুরোটাই ছিল পাকিস্তানের। বাংলাদেশের ৩৩০ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে স্কোর বোর্ডে বিনা উইকেটে ১৪৫ রান জমা করে পাকিস্তান। দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের বোলারদের করা ৫৭ ওভারের নির্বিষ বোলিংয়ের বিপক্ষে অত্যন্ত সাবলীল ছিলেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার আবিদ আলী ও আব্দুল্লাহ শফিক।
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের ১০ উইকেটের ৮টিই দখল করে পাকিস্থানের পেসাররা । হাসান আলী একাই নেন ৫টি উইকেট। আর শাহিন আফ্রিদি ও ফাহিম আশরাফ দুটি করে উইকেট নেন। অথচ পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের পেসাররা মাত্র দুটি উইকেট নিতে পেরেছেন।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের বোলিং বিভাগে পেসারদের সঙ্গে স্পিনারদের যেন রাত-দিন তফাৎ। অভিষেক টেস্ট থেকে চলমান টেস্ট পর্যন্ত বরাবর স্পিনাররাই রাজত্ব করেছেন। যার সর্বশেষটি করলেন চলমান চট্টগ্রাম টেস্টে বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম।পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে তাইজুল ৪৪.৪ ওভারে ১১৬ রানের বিনিময়ে ৭ উইকেট নিয়েছেন। দ্বিতীয় দিন কোনো উইকেট না পড়লেও তৃতীয় দিনের শুরুতেই তাইজুলের ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে পড়ে পাকিস্থানের ব্যাটাররা।
রোববার টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষ সেশনেও বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস ধসে পড়ে পাকিস্তানের পেস আক্রমণে। টপ অর্ডারের প্রথম চারজনকে সাঁজঘরে পাঠিয়েছেন পেসার শাহিন আফ্রিদি ও হাসান আলী। কেবল চলমান টেস্টেই নয়, চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টেও বাংলাদেশের পেসাররা ছিলেন নির্বিষ। দুই ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ মোট ১৭ উইকেট হারায়। ১৭ উইকেটের মাত্র ২টি ছিল পেসারদের দখলে। বাকি ১৫টি উইকেটই নিয়েছিলেন স্পিনাররা।
তাই প্রশ্ন থেকেই যাই কবে বাংলাদেশের পেসাররা ঘুরে দাঁড়াবে, প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে তছনছ করে দেওয়ার সামর্থ্য অর্জন করবে