সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যার্ত মানুষদের মাঝে ত্রাণ বিতরণে সবার আগে এগিয়ে এসেছেন দেশের আলেম সমাজ। সঙ্কটাপন্ন মানুষের পাশে আলেমদের দাঁড়ানোর বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
আলেমদের তত্ত্বাবধানে স্বেচ্ছাসেবীরা কয়েকদিন ধরে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে সিলেটের বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল, সংস্থা ও অনেক মানবহিতৈষীও এগিয়ে এসেছেন। তবে আলেমরা এগিয়ে এসেছেন সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে। তাদের সেবাগুলো মানুষের বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে।
বন্যার পানিতে দিশেহারা সুনামগঞ্জ ও সিলেটের মানুষ। কয়েকদিন থেকে বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন এখানকার মানুষ। বন্যার ভয়াবহতা বাড়তে থাকায় সারাদেশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে জেলা দুটি।
এমন পরিস্থিতিতেও গলাপানি অতিক্রম করে সেখানে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন আলেম সমাজ। পানি পেরিয়ে বানভাসি মানুষগুলোর কাছে খাবার হাতে দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে গেছে জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ প্রতিষ্ঠিত ‘আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন’ চরমোনাই পীরের ইসলামি আন্দোলন, খেলাফত মজলিশ, ইসলামি ঐক্যজোট। এছাড়া সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ বন্যার্ত জেলাগুলোর হাজার হাজার পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছেন মাওলানা আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, শায়খ আবদুর রাযযাক বিন ইউসুফ।
এদিকে, আলেমদের নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা বিতরণের ক্ষেত্রে সেবাগ্রহীতার মান-মর্যাদা ও সৌজন্যতার নানামাত্রিক দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে। সেবাগ্রহীতার ছবি প্রচার থেকে নির্মোহ থেকে সঙ্কটগ্রস্ত মানুষকে খাবারের প্যাকেজ পৌঁছে দেওয়া প্রশংসা কুড়িয়েছে।
আলেম সমাজের প্রশংসা করে ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম নেতা মুফতি শিহাব উদ্দিন বলেন, বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণে দেশের আলেম সমাজই এগিয়ে। আবারও প্রমাণ হলো আলেমরা সব সময় সবার আগে জনগণের পাশে দাঁড়ায়।