বিয়ে জীবনের খুব জরুরি একটি পর্যায়। সঠিক মানুষকে বিয়ে করলে জীবন উত্তেজনাপূর্ণ ও আনন্দের হয়। আর না হলে জীবন নরকে পরিণত হয়ে যায়—এমনই মত দেন গুণীরা।
আপনি কি জীবনসঙ্গী হিসেবে সঠিক মানুষকে পেয়েছেন? কী মনে হয়? কিছু লক্ষণ জানিয়ে দেবে বিষয়টি। আসুন জানি—
দম্পতিদের মধ্যে একজন আরেকজনের মূল্যবোধকে সম্মান দেওয়া জরুরি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পছন্দের পরিবর্তন হয়। তবে মূল্যবোধ কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে একই রকম থাকে। আর আপনার সঙ্গী সেই মূল্যবোধকে সম্মান করলে ভাগ্যবান আপনি।
নিজেদের মধ্যে তো সময় কাটাবেনই, তাই বলে কি নিজের জন্য সময় রাখবেন না? প্রত্যেকেরই কিন্তু একটি আলাদা জগৎ লাগে, আলাদা সময়ের প্রয়োজন হয়। এক অপরকে এ ক্ষেত্রে স্বাধীনতা দেওয়াটা পরিপক্ব সম্পর্কের লক্ষণ। দেখুন তো, আপনার সঙ্গী আপনাকে সেই জায়গাটুকু দিচ্ছে কি না?
বিশ্বাস যেকোনো সম্পর্কের ভিত। ভালোবাসার মানুষ বিশ্বাসী হলে মন, আত্মা উজাড় করে দেওয়া যায়। কারণ, আপনি জানেন সে আপনার বিশ্বাসের মূল্য দেবে।বিশ্বাস ছাড়া সম্পর্কে ভয় ও নিরাপত্তাহীনতা বাসা বাঁধে। আর সঙ্গী বিশ্বাসী হলে নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান আপনি।
বিয়ে করার দীর্ঘ সময় যাওয়ার পর অনেকে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। অনেকের ক্ষেত্রেই মনে হয় যেন আটকে পড়েছেন কোথাও। এ থেকে মুক্তি মিলছে না। দেহ-মনের ওপর এক ভয়াবহ চাপ পড়ছে। এমন হলে সে সম্পর্ক যে মোটেই সুখকর নয়, তা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না।এর বিপরীত ঘটলে, অর্থাৎ সঙ্গীর সঙ্গে দীর্ঘদিন কাটার পরও আপনি স্বস্তিবোধ করলে, অবশ্যই সে আপনার জীবনের শ্রেষ্ঠ পছন্দ।
স্বাস্থ্যকর খুনসুটি বা ঝগড়া যেকোনো সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আর প্রেম বা বিয়ের মতো সম্পর্কে তো মতভেদ থাকবেই। তবে এটি যেন কখনো ভয়ানক পর্যায়ে পৌঁছে না যায়। আপনার সঙ্গী আপনাকে সম্মান করলে, আপনার সমস্যাগুলো মন দিয়ে বোঝার চেষ্টা করলে সে সম্পর্কের ব্যাপারে যথেষ্টই যত্নবান। কেবল সে কেন, আপনিও যদি তার ক্ষেত্রে একই কাজ করেন, তাহলে আপনারা দুজনই বেশ পরিপক্ব।