কাতারে মরুর বুকে বিশ্বকাপে শেষ আট নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল। নকআউটে দক্ষিণ কোরিয়া বিপক্ষে ৪-১ গোল ব্যবধানে জয় পেয়েছে সেলেকাওরা। শেষ ষোলোর ম্যাচে পেনাল্টি থেকে গোল করেছেন ব্রাজিল দলের পোষ্টার বয় নেইমার জুনিয়র।
কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই সার্বিয়ার রক্ষণ কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন নেইমাররা। তবে সেই ম্যাচে বিপত্তি বাধে নেইমারের ইনজুরি। পরবর্তী দুই ম্যাচে তাই বেশ বেগ পোহাতে হয়েছিল সেলেকাওদের। শেষ ষোলোর ম্যাচে নেইমার ফিরতেই যেন স্বরুপে ফিরলো ব্রাজিল। সাম্বা ছন্দে সমর্থকদের মুগ্ধ করলো ব্রাজিলের মাঠের তারকারা।
২০১৪ সালের সেই কালো রাত ফিরে আসার শঙ্কায় পড়েছিলেন নেইমার। দারুণ ফর্মে থেকে আরেকটি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার কিনারে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। সার্বিয়ার বিপক্ষে পাওয়া চোটের পর রাতভর কেঁদেছিলেন ব্রাজিলের এই তারকা। তবে সব সামলে ঘুরে দাঁড়াতেও দেরি করেননি। প্রচণ্ড পরিশ্রম করে নিজেকে নকআউট পর্বের আগেই প্রস্তুত করে ফেলেন তিনি।
এই ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে নেইমার জানালেন, ২৪ নভেম্বর সার্বিয়ার বিপক্ষে দলের দারুণ জয়ের পর প্রচণ্ড বাজে রাত কেটেছিল তার, ‘অনেক ভয় পেয়েছিলাম। আমি খুব ভালো ফর্মে ছিলাম, দারুণ একটি মৌসুম পার করছিলাম। এরমধ্যে গোড়ালির চোট মেনে নেওয়া কঠিন। ওই রাতে আমি অনেক কেঁদেছি, আমার পরিবারের মানুষ জানে।’
এবার আর কাজ অসমাপ্ত রেখে যাতে সরতে না হয় তা নিয়ে বদ্ধ পরিকর ছিলেন নেইমার। ওই রাতেই শুরু করেন সেরে উঠার লড়াই। ফিজিওর সঙ্গে চলে কঠোর পরিশ্রম, ‘তবে ফেরার লড়াই হয় দ্রুত। সব কিছু পরিকল্পনা করা হয়। এই লড়াই দারুণ। সেই রাত থেকে পরদিন ১১টা পর্যন্ত আমি ফিজিওর সঙ্গে কাজ করি। বাকি দিনগুলোতে ভোর ৫টা, ৬টা পর্যন্ত কাজ চলতে থাকে। এইসব কষ্ট সব উবে যাবে যদি শিরোপা জিততে পারি’