জার্মানির একটি জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল বিশ্বকাপে মরক্কোর ফুটবলারদের আঙ্গুল তুলে উদযাপনকে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের উদযাপনের সাথে তুলনা করেছে। জার্মান মিডিয়ার এ ধরনের ইসলামবিদ্বেষ ব্যাপক ক্ষোভ এবং সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে পর্তুগালের বিপক্ষে জয়ের পর মরক্কোর তিনজন খেলোয়াড় আঙ্গুলের তর্জনী উঁচিয়ে হাসিমুখে পোজ দিয়েছেন। জার্মানির টেলিভিশন চ্যানেল ওয়েল্ট এর একজন উপস্থাপক দাবি করেছেন, জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসও বিজয়ের পর এভাবে তর্জনী উঁচিয়ে ধরে উদযাপন করে থাকে।
তিনি আরও বলেছেন, মরক্কোর খেলোয়াড়দের এ ধরনের উদযাপনের ভঙ্গি জার্মানিদের ক্ষুব্ধ করেছে।
মরক্কোর ফুটবলার জাকারিয়া আবৌখলাল, আবদেলহামিদ সাবিরি এবং ইলিয়াস চেয়ার পর্তুগালের বিপক্ষে জয়ের পর মরক্কোর পতাকা নিয়ে তর্জনী উঁচিয়ে ছবি তুলেছেন। প্রসঙ্গত, ১ হাজার ৪০০ বছর ধরেই মুসলমানরা তর্জনী উঁচিয়ে ধরার মাধ্যমে মূলত আল্লাহর একত্ববাদকে প্রকাশ করে থাকেন। কয়েক দশক ধরে মুসলিম ফুটবলারদেরও এমনটি করতে দেখা যাচ্ছে।
মরোক্কান বংশোদ্ভূত জার্মান খেলোয়াড় আবদেলহামিদ সাবিরি ফিলিস্তিনি পতাকা কাঁধে জড়িয়ে, তর্জনী উঁচিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, স্বাধীনতা।এদিকে ওয়েল্ট চ্যানেলের উপস্থাপকের এ ধরনের ইসলামবিদ্বেষী মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। তিনি এর মাধ্যমে মরক্কোর ফুটবলার এবং জার্মান মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা উস্কিয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়।
জার্মান সাংবাদিক তারেক বে জানিয়েছেন, ওয়েল্ট টিভির এ ধরনের খবর প্রচার বিজয়ী মুসলিম দলকে ছোট করে দেখানোর একটি প্রচেষ্টা। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘সারা বিশ্বের মানুষ তর্জনী উঁচিয়ে ধরেই উদযাপন করে থাকে। অথচ মুসলমানরা করলেই এটিকে সন্ত্রাসীদের সাথে তুলনা করা হয়। একদল লোককে এভাবে ছোট করে দেখানোকে আপনি কী বলবেন?’
সূত্র: মিডল ইস্ট আই